ভালো চাকুরী পাওয়ার সহজ উপায়...


প্রিয় পাঠক/পাঠিকা আপনার মনের বক্তব্য অনেকটা এরকম,
# পকেটের যা অবস্থা দ্র্রুত চাকুরী চাই।
#বাবা ঘুষ দিয়ে চাকুরী নিয়ে দেবে বলে মনে হয় না !
# ছোট চাকুরী করব ,মানুষ কি বলবে !
# সরকারী  চাকুরী নিতে ঘুষ দিতে হবে চেষ্টা করে লাভ নেই।
#পরিবারের সাথে আমার মতামতের মিল হয় না ।
#প্রিয় মানুষটাকে দ্রæত বিয়ে করতে না পারলে মনের দিক থেকে ভাল বোধ করছি না।
#বাসায় বসে বসে খাচ্ছি ,বোধহয় বাসার মানুষ ভালো ভাবে নিচ্ছে না ।
#সবাই কত ভালো রোজগার করছে ,আর আমি ?
#আমাকে নিয়ে সবার দৃষ্টি নিচের দিকে কেন?
#আত্ত¡ীয় স্বজনরা কেউ আমাকে কর্মসংস্থানের বিষয়ে সাহায্য করছে না।

#নিজের অর্থনৈতিক অবস্থান তৈরি করতে না পারায় সামাজিক দুরত্ব তৈরি করছেন।
#এত টাকা খরচ করে পড়াশুনা শেষ করলাম এখনো চাকুরী হয় না ।
#বাইরে নিজেকে বড় করে প্রকাশ করে ফেলছি এখন ছোট চাকুরী করলে সম্মান শেষ।
#এত মানুষ রোজগার করে আর আমার রোজগার নেই।
ভালো সিদ্ধান্ত নিন: চাকুরী না ব্যবসা, ব্যবসা নাকি চাকুরী এসব বিষয়ে না ভেবে সিদ্ধান্ত নিন। আপনার ব্যবসায়িক জ্ঞান আছে যদি থেকে থাকে পারিবারের সাথে কথা বলুন আমি কি ব্যবসা করতে পারি? তারা তাদের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত দিবে। যদি তাদের সাথে আপনি একমত হতে পারেন তাহলে তো হয়েই গেল । আর যদি না হয় তাহলে চাকুরী আপনার জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত। সরকারী না বেসরকারী ,বেসরকারী নাকি সরকারী চাকুরী করবেন । এইরকম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিলেই তো আর দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে না। তাই মনটাকে স্থির করুন তো সরকারী চাকুরী হতে কেমন সময় লাগে প্রথমে দরখাস্ত, লিখিত পরীক্ষা,ভাইভা অত:পর চাকুরী সময়সাপেক্ষ বটে। কিন্তু বেসরকারী চাকুরী সরাসরি সাক্ষাতকার অথবা সরকারী চাকুরীর মত সামান্যসময় সাপেক্ষ পদ্ধতি। এখন কি করবেন ? সহজ উপায় সরকারী চাকুরীর জন্য চেষ্টা করতে থাকুন ,পাশাপাশি একটা বেসরকারী চাকুরী করে রোজগার করুন। সরকারী চাকুরীর জন্য মণপ্রাণ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যান। পাশাপাশি রোজগার তো হচ্ছেই । সাপও মরল লাঠিও ভাঙ্গল লা।
 বেসরকারী চাকুরীর মধ্যে কমদামী চাকুরী না বেশি দামী চাকুরী ।বেশি দামী নাকি কমদামী । বেশিদামী চাকুরীতে প্রতিযোগীতা বেশি তাই পাওয়া  কষ্টসাধ্য ,সময় নষ্ট না করে হাতের নাগালের মধ্যে যে কোন মানসম¥ত কাজে মনোযোগ দিন। পাশাপাশি ভালো বেসরকারী চাকুরীর সন্ধান করতে থাকুন। এবার আসা যাক হাতের নাগালের মধ্যে কাজ পাচ্ছেন কিন্তু মানসম্মত হচ্ছে না এমতাবস্থায় কি করবেন?  নিজের ছয়টি ইন্দ্রিয় কাজে লাগান ।আপনি সবকিছুই করছেন টাকার জন্য সরকারী,বেসরকারী,হাতের নাগালের মধ্যে যে কোন কাজ সব তো টাকার জন্যই তাই না? আপনার  হালাল রোজগারের খায়েশ মেটানোর জন্যই তো তাই না ! ভাবুন তো আপনার শরীরের শারীরিক কর্মক্ষম শক্তি কতটুকু এই যেমন অনেকে চেয়ার টেবিলে বসে থাকতে পছন্দ করেন তো অনেকে আবার ঘরের বাইরে মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করেন । আপনার কোনটি ? উত্তর যদি হয় বসে থাকা তাহলে বসে থাকার কাজ গুলোকে যাচাই করুন। যদি ঘড়ের বাইরে মানুষের সাথে মিশতে পছন্দ করেন তাহলে সেই সকল কাজ গুলোকে যাচাই করুন।
সহজ পদ্ধতি:
সহজ উপায়:
নজিরে যোগ্যতা যাচাই: পড়াশোনা করছেনে । নশ্চিয় নজিরে যোগ্যতা নজিইে যাচাই করতে পারবনে। দখেুন তো আপনার পড়াশোনা দয়িে কোন ধরনরে চাকুরী মানানসই। বাজারে কি ধরনরে চাকুরীর চাহদিা বশেি এটা না ভবেে আপনি কোন ধরননে চাকুরীতে আরামদায়ক অনুভব করবনে সটো নর্বিাচন করা খুব গুরুর্ত্বপূণ।সইেসকল চাকুরীর দকিে নজর রাখুন । সইে ধরনরে চাকুরী করে এমন পরচিতি জনদরে সাথে নয়িমতি যোগাযোগ রাখুন । তাদরে জানয়িে রাখুন যে আপনওি এধরনরে চাকুরী পছন্দ করনে তাহলে ভবষ্যিতে তাদরে নকিট থকেে সুসংবাদ আশা করতে পারবনে।
গ্রপ তরৈ:ি চাকুরী খোজার সবচয়েে সহজ উপায় হল গ্রুপে থাকা । যদি সে ধরনরে গ্রুপ না পয়েে থাকনে তাহলে নজিইে একটি গ্রুপ বানয়িে ফলেুন। খুব কাজে দবে।ে আপনি নতুন চাকুরীর সন্ধান পলেে তাদরে জানান ,তারা নতুন চাকুরীর সন্ধান পেলে আপনাকে জানাবে।
সে¦চ্ছাসেবকের কাজ করুন: সময় পেলে ঝড়,জলচ্ছাস,বণ্যার্তদের পাশে দাড়ান, স্বেচ্ছায় রক্ত দাণ করুণ  অন্যকে রক্তদাণে সাহায্য করুণ । দেখবেন কিছু উচ্চ শ্রেণীর মানুষের সাথে আপনার পরিচয় হচ্ছে তাদের মাধ্যমেও আপনি কিছু একটা আশা করতে পারেন । আর হ্যা আপনার জীবনবৃত্তান্তে অবশ্যই এসব বিষয় উল্লেখ করবেন দেখবেন নিয়োগকর্তার নিকট ইতিবাচক দৃষ্টি আর্কষন করবে।
যোগাযোগ : সব পেশার মানুষের সাথে যোগাযোগ রাখার চেষ্টা করুন।তাদের পেশা সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ করুন । নিজেকে ইতিবাচক মানুষ হিসেবে গড়ে তুলুন। চাকুরীর ক্ষেত্রে পরিচয়দানকারী বা রেফারেন্স খুবই গুরত্বপূর্ণ । তাই খেয়াল রাখুন সে ভাবে নিজেকে গড়ে তুলুন।
জীবনবৃত্তান্ত: চাকুরীর ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল জীবনবৃত্তান্ত । জীবনবৃত্তান্ত লেখার ক্ষেত্রে সচেতন হন যা লিখবেন পরিস্কার করে লিখুন মিথ্যা বা অস্মপূর্ণ তথ্য প্রদাণ থেকে বিরত থাকুন।আপনার কাছে প্রমাণ আছে এমন তথ্য প্রদাণ করা গুরুত্বপূর্ণ ।নিকটবর্তী অভিজ্ঞদের সাথে আলোচনা করুন। পরামর্শ গ্রহন করুন।এগিয়ে যান।
বেতন: চাকুরী করবেন বেতনের জন্য তাই বেতনের প্রতি স্পষ্ট ধারনা রাখুন । আপনি কত টাকা হলে চাকুরী করবেন সে ব্যপারে মনস্থির করুন। চাকুরীদাতা প্রশ্ন করলে মার্জিতভাবে বুঝিয়ে বলুন আপনি কত টাকা বেতন চান যাতে তাদের মধ্যে একটা স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয় । আর আপনাকেও বার বার চাকুরী পরিবর্তন করতে হবে না।
চাকুরীর পত্রিকা: নিয়মিত চাকুরীর পত্রিকায় নজর দিন। খুটিয়ে খুটিয়ে বিজ্ঞাপন পড়–ন।হাতের কাছে কম্পিউটার রাখুন যদি সম্ভব না হয় প্রয়োজনে সাইবার ক্যাফে ব্যবহার করতে পারেন । খরচ পড়বে ঘন্টায় ৩০-৪০ টাকা। আজকাল বেসরকারী চাকুরীর বেশির ভাগ ইন্টারনেটে পাওয়া যায়, জব সাইটে একাউন্ট খুলে জীবন বৃত্তান্ত তৈরি করে রাখুন এবং নিয়মিত জব পোর্টাল পরিদর্শন করুন। ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপে যোগ দিন আপনার মতামত তুলে ধরুন অন্যের মতামত পড়–ন নিজেকে আপডেট রাখুন।
বাবা মা নয় প্রাধান্য দিন নিজেকে: ছোট বেলা থেকে বাবা মা বিভিন্ন পেশা নির্ধারিত করে দেন । কিন্তু এটা কখনো ভেবে দেখেননা সন্তানের আগ্রহ অন্য কোন বিষয়ের প্রতি থাকতে পারে তাই বাবা মার যেমন উচিত সন্তানের আগ্রহের দিকে খেয়াল রাখা ঠিক তেমনি সন্তানের উচিত বাবা মাকে বুঝিয়ে বলা আমার এটা নয় ওটাতে আমার আগ্রহ বেশি ।আগ্রহহীন কোন কাজ করতে যাবেন না এতে হীতে বীপরিত হবে।
উপযুক্ত কাজে নজর দিন: বিভিন্ন ধরনের মানুষে বিভিন্ন আগ্রহ । তাই উপযুক্ত কাজে নজর দিন । যেখানে নিজেকে আরামদায়ক অনুভব করবেন সেখানে খোজ খবর রাখুন।কারন নিজের প্রতিষ্ঠানে সচল সাবলম্বি কমী হিসেবে গড়ে ওঠা টা খুব গুরুত্বপূর্ণ।

Comments