হাসপাতালের চরিত্র বা ডাক্তারের চরিত্র

প্রত্যেকটি হাসপাতালের মালিক বা প্রধান থাকে । যিনি  হাসপাতাল নিয়ন্ত্র্রন করেন । মূলত তার চাহিদার অলোকে তার অধঃস্তন কর্মচারীবৃদ্ধ কর্মসম্পাদন করে থাকে। এখন মালিক যদি খাই খাই স্বভাবের হয় তাহলে কর্মচারীরা চাকুরী রক্ষার্থে খাই খাই স¦ভাবের হবে। নতুবা কর্মচারীদের টিকাই অসম্ভব।
অন্যদিকে হাসপাতালে ডাক্তার যদি ফ্রিল্যান্সার হয়ে কাজ করে। অর্থাৎ ডাক্তার হাসপাতালে চাকুরী না করে শুধু হাসপাতাল ব্যবহার করে যতটাকা রোজগার করবে তার ২০%হাসপাতালের,বাকী ৮০% ডাক্তারের । এক্ষেত্রে ডাক্তার ও হাসপাতাল  দুইজনই খাই খাই স্বভাবের হতে পারে। তাহলে আমরা জানলাম হাসপাতালের মালিকের চরিত্র বা ডাক্তারের চরিত্রের উপর নির্ভর করে হাসপাতালের চরিত্র প্রকাশ পায়।
অন্যদিকে, ডাক্তার কমিশন ভিত্তিক হলে ডাক্তারের চরিত্র প্রকাশ পায়।
আপনার রোগীকে হাসপাতালে বাচ্চা ডেলিভারী করাতে নিয়ে যাওয়ার পূর্বে হাসপাতালের চরিত্র বা ডাক্তারের চরিত্র জানা জরুরী। কারন চরিত্র খারাপ হলে তারা টাকার জন্য সিজার করতে বলবে । এবং এমন এমন সমস্যার কথা বলবে  শুনলেই আতকে উঠবেন। পক্ষান্তরে এমন অনেক হাসপাতাল বা ডাক্তার আছে সিজারের কথা বললে তিনিই উল্টো তার রুম থেকে আপনাকে বের করে দিবে। অপমান না হয়ে থাকলে বুঝবেন না। আগে প্রাকৃতিক উপায়ে তিনি চেষ্টা করবেন যদি পারতপক্ষ্যে সম্ভব না হয় অত:পর সিজার ।
 প্রিয় পাঠক, সাবধান হয়ে যান,খুজে বের করুন কোথায় আপনার রোগীকে ডেলিভারী করাবেন। এক্ষেত্রে একদম ভূল করা চলবে না। ভাল সিদ্ধান্ত নিন সুস্থ্য থাকুন।
আমি আপনাকে পরামর্শ দিব সরকারী হাসপাতালকে বিবেচনায় রাখুন । তবে সব সরকারী হাসপাতাল একই রকম নয় । খোজ খবর নিয়ে , রোগীদের সাথে কথা বলে তবেই সিদ্ধান্ত নিন। বেসরকারী হাসপাতাল হলে তাদের অতীত ইতিহাস ঘেটে দেখতে পারেন। ডেলিভারী হয়েছে এমন রোগীদের সাথে কথা বলুন ।অত:পর সিদ্ধান্ত নিন।

রক্ত

রক্তের প্রয়োজন পরলে কি করবেন। কার কাছ থেকে নিবেন ঠিক করে রাখুন।

টাকা পয়সা

সম্ভাব্য কত টাকা খরচ হতে পারে তা জোগার করে রাখুন । হঠাৎ বিপদ আসলে আরো কত টাকা প্রয়োজন হতে পারে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিন।

কাপড়

সাধারনত বাচ্চা ডেলিভারী করার পর টুকরা কাপড়, গামছা , কাথাঁ , মোশারী প্রয়োজন হয়। তাই পূর্বে থেকেই এসব কিছু সংগ্রহে রাখুন।

ব্যাগ

হাসপাতালে যাওয়ার সময় অনেক কিছু সঙ্গে নিতে হবে । যেমন: কাপড়,মেডিসিন,টাকা, খাবার ইত্যাদি তাই প্রত্যেকটি জিনিসের জন্য আলাদা আলাদা ব্যাগ সংগ্রহ করুন। কখনই কাপড়ের ব্যাগে খাবার আর খাবারের ব্যাগে মেডিসিন নিবেন না। এতে মারাত্বক বিপত্তি ঘটতে পারে।

থাকার জায়গা

আপনি যেখানে ডেলিভারী করাবেন অর্থাৎ হাসপাতালের আশে-পাশে রোগীর আত্বীয়-স্বজন আছে কিনা খোজ খবর নিন। হাসপাতালের সবচেয়ে কাছের আবাসিক হোটেলের ভিজিটিং কার্ড সংগ্রহ করুন।  খাবার সংগ্রহের প্রয়োজন হলে কোথা থেকে সংগ্রহ করবেন সেই বন্দোবস্ত করে রাখুন।


যাতায়াত

রোগীর আকস্মিক হাসপাতালে নেওয়ার জন্য নিকটস্থ পরিবহন মালিকের সাথে কথা বলুন তার মোবাইল নম্বর সংগ্রহে রাখুন এবং জানিয়ে দিন আপনি টেলিফোন করা মাত্র যেন পরিবহন সুবিধা পাওয়া যায়।

আত্বীয়-স্বজনের সাথে আলোচনা

ডেলিভারীর বিষয়টি সকল আত্বীয় স্বজনের সাথে আলোচনা করুন। তাদের জরুরী যোগাযোগ নম্বরটি সংগ্রহ করুন। জানিয়ে দিন তাদের আপনার প্রয়োজন হতে পারে।





Comments