টাকা সঞ্চয় করার শর্টকাট উপায়

টাকা খরচ করা সহজ নাকি টাকা রোজগার করা সহজ ? এই প্রশ্নের উত্তর যাই হোক । আর রোজগার যতবেশিই হোক ।সঞ্চয় একটি অভ্যাস । আর এই অভ্যাস আপনাকে তৈরি করতেই হবে। কারন আপনি চাননা বিপদে পড়তে । আর কখনো যদি পড়েন তখন দেখবেন কাউকে পাশে পাচ্ছেন না কারন অন্যরা তো আর আপনার বিপদের জন্য টাকা জমিয়ে রাখেনি তাই না ! সঞ্চয়ের কথা ভাবুন । টাকা থাকলে যখন যা ইচ্ছা কিনতে পারবেন। 
টাকা পয়সা সঞ্চয় করা খুব সহজ যদি আপনার ইচ্ছা থাকে । বিশ্বাস হচ্ছে না ? চলুন উপায় গুলো জেনে নিই ....

১। আড়ত থেকে কাচাঁবাজার  করুন 

আমাদের সপ্তাহে কি পরিমান কাচাঁবাজার লাগে তার একটা হিসাব করা দরকার । টুক করে খাতায় নোট করে রাখলে মনে রাখা সহজ হবে। সেই হিসাব অনুযায়ী সপ্তাহের ছুটির দিন আড়ত থেকে বাজার করলে নিশ্চিত কিছু টাকা বেচে যাবে। 

২। পাইকারী কাপড়ের মার্কেট থেকে কাপড় কিনুন

প্রতি মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয়  ২-১ কাপড় কিনতে হয় । কখনো আপনার জন্য আবার কখনো কাজের মেয়ের জন্য ভাবছেন কি করবেন ? সোজা স্থানীয় পাইকারী কাপড়ের মার্কেট বা দোকানে চলে যান্। যা কিনবেন সর্বনিম্ন ৬ পিস কিনুন দেখবেন আপনাকে পাইকারী দামে দিবে। তাছারা ব্রান্ডের কাপড়ের দোকানের ফেসবুক পেজে খবর রাখুন কখন তারা ছার দিচ্ছে । অভ্যাস করুন দেখবেন  প্রতিমাসে কাপড়ের দোকানে যেতে হচ্ছে না । 

৩।মাছের আড়ত থেকে মাছ কিনুন 

আপনার বাসার ফ্রিজের জায়গা কতটুকু সেই হিসেবে মাসে কতটুকু মাছ লাগে হিসাব করে সোজা পাইকারী মাছের আড়তে  চলে যান পুরো মাসের মাছ একত্রে কিনুন  দেখবেন কমদামে অনেক মাছ পেয়ে গেছেন । যদি ফ্রিজের পুরোনো  মাছ খেতে ভালো না লাগে তাহলে সপ্তাহের জন্য কিনতে পারেন। 

৪। যাতায়াতের জন্য ব্যবহার করুন সাইকেল 

আপনার অফিসের জন্য বা জরুরী কাজে যাই ব্যবহার করুন না কেন যখন আপনার হাতে পর্যাপ্ত সময় থাকবে তখন সাইকেল ব্যবহার করুন । সাইকেল ব্যবহারে আপনার অর্থ সাশ্রয় হবে আর স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে । 

৫। বিনোদনের জন্য মাসিক বাজেট নির্ধারণ করুন

আপনি অবশ্যই খেয়াল রাখবেন বিনোদনের জন্য যেন কোনক্রমে আয়ের বেশির ভাগ টাকা খরচ না হয় । এ জন্য মাসিক বাজেট নির্ধারন করুন । সেই অনুযায়ী খরচ করুন । মাসিক বাজেট খরচ হয়ে গেলে আর কোন টাকা বিনোদনের জন্য খরচ করবেন না প্রতিজ্ঞা করুন। 

৬। প্রতিযোগীতা পরিহার করুন:

পাশের বাসায় রুটি মেকার আছে আপনার নেই । দু:খ অনুভব করছেন । ভাবছেন কিছু টাকা জোগার করতে পারলে এবার সবার আগে রুটি মেকারটা কিনেই ফেলবেন । খবরদার এটা ভুলেও করতে যাবেন না । প্রতিযোগীতা পরিহার করুন । সঞ্চয়ের কথা ভাবুন। 

৭। আমিষ জাতীয় তরকারী

যদি আপনি প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে মাংস কিনেন । তাহলে দেখবেন আপনার আয়ের একটা অংশ আমিষ কিনতে চলে যাচ্ছে । তাই আমিষ কম খাওয়ার চেষ্টা করুন। স্বাস্থ্য ভালো থাকবে । সঞ্চয়ও হবে। 

৮। মাসিক হিসাব 

আপনি প্রতিদিন কত টাকা খরচ করছেন তা নির্দিষ্ট খাতায় লিপিবদ্ধ করুন। তাহলে আপনার টাকা কোথায় কোথায় খরচ হচ্ছে বুঝতে পারবেন। আর কোথায় খরচ না করলে ভাল হত তাও জানতে পারবেন। 

৯। বাইরের খাবার কম খাওয়া

দুরে কোথাও গেলে বাসায় রান্না করা খাবার সঙ্গে নিয়ে যান । অপ্রয়োজনে বাইরের খাবার খাবেন না । চেষ্টা করুন । অভ্যাস হয়ে যাবে। 

১০। মোবাইলে অতিরিক্ত টাকা খরচ না করা

মোবাইলে অতিরিক্ত টাকা রিচার্জ করবেন না । যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রিচার্জ করবেন। মোবাইলে অতিরিক্ত টাকা থাকলে খরচও হবে অতিরিক্ত । তাই আপনার মাসে কত টাকা মোবাইলে প্রয়োজন সেই হিসেব করে রিচার্জ করুন। 

১১।অফার পেলে তবেই কিছু কেনাকাটা করা

কোম্পানীর দোকানগুলোর খোজ খবর রাখুন । কখন কোন পন্যে কোন কোম্পানী অফার দিচ্ছে   নজর রাখুন। মনের মত অফার পেলে কিনে রাখুন । অফারের আগে শপিং কে না বলুন। 

১২। লোন না দেওয়া ,লোন না নেওয়া 

আপনার কাছে কিছু টাকা আছে , আপনি কাউকে লোন হিসেবে টাকাটা দিলেন । ঠিক ওই সময় আপনার টাকার প্রয়োজন হলে ফেরত পাবেন না,তাহলে কি হল আপনার টাকা আছে   কিন্তু কাজে লাগছে না ,সেই টাকার মূল্য কি বলুন । তাই প্রয়োজনের কথা ভেবে টাকা লোন দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। মানুষের কাছে লোন ভুলেও চাইবেন না । এতে সন্মান কমবেবৈকি বাড়বে না। 

১৩।অতিরিক্ত রোজগারের চিন্তা করা

সবসময় অতিরিক্ত রোজগার কিভাবে করা  যায় ভাবুন। সুযোগ পেলে কাজে লেগে যান । দেখবেন আপনার লক্ষ্য পূরণ হবেই । 

Comments