সঠিক পরিবার পরিকল্পনা

আপনি নতুন বিয়ে করেছেন ? যদি উত্তর হয় হ্যা । তাহলে আপনাকেই বলছি পাঠক । বিয়ের পর  ব্যাক্তিগত অনেক শারীরিক পরিবর্তন আসবে যা আপনি কাউকেই বলতে পারবেন না । এইরকম পরিস্থিতিতে হতাশ হবেন না । সোজা মায়ের কাছে চলে যান বলুন আপনার যত সমস্যা । যদি আপনি বলতে না পারেন  তাহলে আমাকে কমেন্ট এর মাধ্যমে  জানান। 
উলেখ্য যে, যদি স্ত্রীর অনিয়মিত মাসিক হয়ে থাকে তাহলে উপরে পদত্ব তথ্য কার্যকর হবে না । এক্ষেত্রে মেয়েদের জন্য কিছু আলাদা হাসপাতাল রয়েছে সেখানে আপনাকে যেতে হবে। তারা স্ত্রীর শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পর একটি সিদ্ধান্ত দিতে পারবে। এতো গেলো সময় নির্ধারন । এবার প্রশ্ন হলো আপনি বিয়ের সাথে সাথে বাচ্চা নিবেন না তাহলে কি করবেন?  মানুষ বিয়ের সাথে সাথে বাচ্চা নেয়না কিন্তু ভুলের কারনে বাচ্চা এসে গেলে তখন কিছু করার থাকে না । তাই আপনি বিয়ের আগেই স্বনির্ভর ,মেরিস্টপস,মায়ের হাসি চিহ্নিত পারিবারিক হাসপাতালে গিয়ে কথা বলতে পারেন। বলবেন আমি বিয়ে করতে যাচ্ছি   । তারা আপনাকে উপযুক্ত একটি পরামর্শ দিয়ে থাকবে। যদি আপনি না যান তাহলে প্রথম রাত থেকেই কনডম ব্যবহার করতে থাকুন। আর স্ত্রীকে মাসিক শুরুর প্রখম দিন থেকে জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি খাওয়া শুরু করতে বলুন। নাহলে বিপদ অবিসম্ভাবী । এতো গেলো প্রাথমিক সমাধান । যদি আপনি বিয়ের প্রথম ২ বছর সন্তান নিতে না চান তাহলে কি করবেন । জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি খাবেন ? খবরদার এমন টা করবেন না । জন্মনিয়ন্ত্রন বড়ি দীর্ঘদিন খেলে গ্রহনকারীর প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় । সবাই বলবে এমনকি কাগজে কলমে দেখতেও পাবেন বড়ি খেলে প্রজনন ক্ষমতা স্বাভাবিক থাকে । বাস্তবে ঘটে পুরো উল্টা । যারা বিক্রি করে তারা তো বলবেই । সাবধান দীর্ঘমেয়াদে বড়ি খাবেন না। রাসায়নিক ওষুধ ব্যতিত যদি কোন জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি থেকে থাকে তাহলে সেটি নিরাপদ । নাহলে দীর্ঘমেয়াদে আপনি বিপদে পড়তে যাচ্ছেন। অনেকেই বলবে আমি ৫ বছর খেয়েছি কই কিছুই তো হল না । জি আপনার শারীরিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ,স্বাস্থ্য ও অন্যান্য অবস্থার উপরে নির্ভর করছে। অন্যদের তো সেই সুবিধা নাও  থাকতে পারে। এবার আসি জন্মনিয়ন্ত্রন পদ্ধতি কি কি  এবং উহার বিস্তারিত  ।

বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী পারস্পারিক শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করে । এই সম্পর্ক নতুন সম্পর্ক । তাই অনেক বিষয় জানা থাকেনা ফলে বিপত্তি ঘটতে পারে। ভালো করে খেয়াল করুন ,স্বামীর প্রত্যেকটি দিনই সন্তান উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে অন্যদিকে স্ত্রীর মাসের একটি নিদ্রিষ্ট সময় সন্তান উৎপাদন করার ক্ষমতা রয়েছে । অর্থাৎ যখন স্বামী ও স্ত্রী দুজনই সন্তান উৎপাদন করার অবস্থায় থাকবে তখন শারীরিক সম্পর্ক করলে সন্তান আসবে। আবার যখন স্ত্রী সন্তান উৎপাদন করার ক্ষমতায় থাকবেনা তখন শারীরিক সম্পর্ক করলে সন্তান আসবে না। এখন জানতে হবে স্ত্রী কখন সন্তান উৎপাদনের ক্ষমতায় থাকে ? প্রত্যেকটি  স্ত্রীর মাসের একটি নির্দিষ্ট সময় ৫-৭ দিনের জন্য মাসিক হয়ে থাকে অর্থাৎ যেীনাঙ্গ দিয়ে সামান্য পরিমান রক্ত বের হয়ে থাকে। একে বলা হয় মাসিক । যদি ৩০ দিনে মাস হয় । সেখান থেকে ৫ দিন মাসিক হলে বাকী ২৫ দিন  স্ত্রী সহবাস করার জন্য  তৈরি থাকে ।  মাসিক  শেষ হবার পরের দিন থেকে  এক সপ্তাহ  এবং মাসিক শেষ হবার পূর্বের এক সপ্তাহ  নিরাপদ । এই সময় স্ত্রীর সন্তান জন্মদানের ক্ষমতা থাকেনা । তাই এই সময় যদি স্বামী-স্ত্রী শারীরিক সম্পর্ক করে থাকেন তাহলে সন্তানগ্রহন করবে না। আরেকটু বিস্তারিত ভাবে বলতে গেলে মাসিক এর ৮ম দিন থেকে ১৮ তম দিন পর্যন্ত স্ত্রীর সন্তান জন্মদেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। 

১।কনডম

কনডম দুই  ধরনের (ক)পুরুষের লিঙ্গে ব্যবহারের জন্য (খ) নারীর যৌনীতে ব্যবহারের জন্য
বাজারে প্যাকেটজাত অবস্থায় পাওয়া যায় ।ক্রয় করে এনে সরাসরি শারীরিক সম্পর্ক করার পূর্বে পরিধান  করতে হয় ।সম্পর্ক হয়ে গেলে খুলে ফেলে দিতে হয় ।  

২।ইনজেকশন

বাজারে বিভিন্ন কোম্পানীর জন্মনিরোধক ইনজেকশন পাওয়া যায়। এটি স্ত্রীর শরীরে নিলে ৩ মাস সন্তান আসবে না ।পুরুষ নিতে পারবে না। 

৩।পিল বা বড়ি

বাজারে জন্মনিরোধক পিল বা বড়ি কিনতে পাওয়া যায় । মাসিক শুরুর প্রথম দিন থেকে খাওয়া শুরু করতে হয় । এক পাতা এক মাসের জন্য । পরবর্তি মাসের মাসিক শুরু হলে নতুন পাতা কিনে প্রথম থেকে খাওয়া শুরু করতে হয়। বিস্তারিত প্যাকেটের ভিতরে লেখা আছে। 

৪। ইমপ্লেন্ট:

সর্বোচ্চ ৩ বছরের জন্য পদ্ধতি । মেয়েদের শরীরে কাঠির মত খুবই ছোট কিছু হাতের বাহুতে প্রবেশ করা হয়। 

৫।আইইউএস
৬।নারীদের টিউবেকটমী


৭।পুরুষের ভ্যাসেকটমী

সারাজীবনের জন্য স্থায়ী পদ্ধতি । পুরুষদের জন্য । সাধারনত একটা সময় আসে যখন পুরুষেরা মনে করে এখন একটা স্থায়ী পদ্ধতি নেওয়া প্রয়োজন। ঠিক তখনই এটি গ্রহন করা উচিত। এটি গ্রহন করলে আর কখনো বাচ্চা নেওয়ার ক্ষমতা আপনি ফিরে পাবেন কি না এ ব্যপারে ডাক্তারের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেওয়া হল। 

৮।জন্মনিয়ন্ত্রক প্যাচৎ

এটি মেয়েদের শরীরে গ্রহন করতে হয় । এটি  গ্রহন করলে এক সপ্তাহ আপনি নিরাপদ থাকবেন। পরবর্তি সপ্তাহে আপনাকে আবার গ্রহন করতে হবে। 

৯।যোনির রিং

যোনির রিং এক মাসের জন্য একটি । অর্থাত একবার গ্রহন করলে আপনি একমাস নিরাপদ থাকবেন। রাসায়নিক ওষুধ মুক্ত বিধায় নিরাপদ ভাবতে পারেন। 

১০।স্পামির্সিড যুক্ত ক্যাপ

প্রতিটি যৌন মিলনের শুরুতে এটি আপনাকে গ্রহন করতে হবে। 

১১। স্পামির্সিড যুক্ত ডায়াফ্রাম

এক ধরনের ফোম । প্রতিটি যৌন মিলনের শুরুতে গ্রহন করতে হবে।এটি মূলত শুক্রানু ও ডিম্বানুকে  একত্রিত হতে দেয়না ।



আরও পড়ুন






Comments